নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে মুখে খুলেছেন টলিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে অভিনেত্রী জানান, দাম্পত্য বিষাক্ত হতে শুরু করলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। শুধুমাত্র চোখরাঙানির ভয়ে প্রতিবাদ না করলে নিজে ভালো থাকা যাবে না।
নুসরত বলেন, ‘‘আমার লড়াই আমাকেই লড়তে হবে। কেউ কারও হয়ে গলা তুলবে না। এখন যদি লোককে দেখানোর জন্য ছলনার আশ্রয় নিয়ে মিথ্যে জীবনযাপন করি, স্বামী অত্যাচার করলেও সমাজের ভয়ে চুপ থাকি, লোকের সামনে স্বামীর ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য আওয়াজ না তুলি, তবে নিজের জীবনটা কোথাও যেন হারিয়ে যাবে। নিজেদের ক্ষতগুলোকে লুকিয়ে রাখতে রাখতে নারীরা নিজস্বতা হারিয়ে ফেলবে।’’
সব নারীদের উদ্দেশ্যে নুসরাত বলেছেন, ‘‘মনের আনন্দে বাঁচুন সবাই।’’ যেই নারীরা বিপদে রয়েছেন বা যাদের সাহায্যের প্রয়োজন, তারা যেন প্রশাসনের দ্বারস্থ হন, সেই পথও দেখিয়েছেন নুসরাত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সকলেই তাদের পাশে রয়েছি। শুধু একটু মুখ ফুটে বলতে হবে।’’
বিয়ে ও মাতৃত্ব নিয়েও নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন নুসরাত। অন্তঃসত্ত্বা নুসরত বললেন, ‘‘মাতৃত্ব আশীর্বাদ, সেটা অস্বীকার করার জায়গা নেই, কিন্তু নিজের শরীর ও মন প্রস্তুত না হলে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।’’
নুসরাতের মতে, পুরুষরা নারীদের সম্মান করবেন কিনা, তার প্রাথমিক শিক্ষা আসা উচিত পরিবার থেকে। মা-বাবারা যদি তাদের ছেলেদের এই শিক্ষা দেন, তা হলে সমাজে অনেক কিছুই সংশোধনের দিকে যাবে। তেমনই ভাবে অভিভাবকদেরকে নুসরতের পরামর্শ, কন্যাসন্তান হলে তাকে বোঝানো উচিত, সমাজের ভয়ে মাথা নত করা ঠিক নয়। সেই প্রসঙ্গে নুসরত বললেন, ‘‘আমার মেয়ে হলে তাকে আমি শেখাব, সে যেন কখনও মাথা নত না করে।’’
লাইভ চলাকালীন অনেক অনুরাগী নুসরাতের প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছে। এত সমালোচনার মাঝেও নায়িকার অনুরাগীর সংখ্যা যে কম না সেকথা আবারো প্রমাণ হলো।